শৈলকুপায় প্রতারক চক্রের খপ্পরে রেমিটেন্স, দেশী-বিদেশী চক্র জড়িত

গ্রাহক সেজে প্রবাসীর ৪লাখ টাকা ব্যাংক থেকে হাতিয়ে নিল প্রতারক চক্র, নারী সদস্য আটক

 

ব্যাংক কর্মকর্তার সীল, বিল ভাউচারে স্বাক্ষর সবই আছে,গ্রাহকের আইডিও ভেরিফাই করা হয়েছে। এভাবে সরাসরি ক্যাশ কাউন্টার থেকে প্রবাসীর পাঠানো ৪ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে একটি প্রতারকচক্র। তবে তাদের এক নারী সদস্য কে আটক করতে সক্ষম হয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে জনতা ব্যাংক ঝিনাইদহের শৈলকুপা শাখাতে এমন কান্ড ঘটে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ধারনা প্রতরক চক্রের সদস্য কমপক্ষে ১৫জন।
আটক নারী সদস্যের নাম সুমী বেগম, তার বাড়ি গোপালগঞ্জ বলে দাবি করলেও জাতীয় পরিচয় পত্রে দেখা যায় তার বাড়ি খুলনার তেরোখাদা উপজেলার নলিয়ারচর ইউনিয়নের বলধরনা গ্রামে। সে ঐ গ্রামের কামাাল হোসেনের স্ত্রী। পিতার নাম কেরামত শেখ।
জনতা ব্যাংক শৈলকুপা শাখার ব্যবস্থাপক শাহীনুর ইসলাম জানান,প্রতারক চক্র বৈদেশীক টাকা লেনদেন প্রক্রিয়ার সকল কাগজপত্র দিনে দিনে শৈলকুপা শাখা থেকে সংগ্রহ করে। যে প্রক্রিয়ায় টাকা প্রদান করা হয় তার সমস্ত প্রক্রিয়ার স্বাক্ষর জাল করে বাইরে থেকে তৈরী করে নিয়ে আসে। বিদেশে থাকা যে সমস্ত ব্যক্তির টাকা সেখান থেকে পাঠানো হয় সে কাগজপত্র ও প্রতারক চক্রের হাতে।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ৪টা বিদেশী লেনদেনে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১৮৬ টাকা উত্তোলন হওয়ায় টনক নড়ে ব্যাংকটির ক্যাশ অফিসারের। ক্যাশ অফিসার সাথে সাথে মোবাইলে শাখা ব্যাবস্থাপক কে জানালে ব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোন বিদেশী লেনদেনে স্বাক্ষর করেননি। তখন ব্যাংকের কর্মচারীরা দৌড়ঝাপ শুরু করে। এক পর্যায়ে শৈলকুপা শহরের দুধবাজার এলাকা থেকে সটকে পড়া প্রতারক চক্রের এক নারী সদস্যকে আটক করে ব্যাংকে নিয়ে আসে। এরপর প্রতারনার ঘটনাটি তিনি স্বীকার করেন ।
জানা গেছে, প্রতারক চক্র শৈলকুপার চতুড়া গ্রামের আশরাফউদ্দিন নামের এক ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করেন বলে জানা যায়। শৈলকুপা শাখা ব্যবস্থাপকের সন্দেহ এর সাথে স্থানীয় এবংদেশী-বিদেশী চক্র জড়িত ।
আটক হওয়া সুমী খাতুন জানান, কোন একদিন বাসের মধ্যে তার সাথে এ প্রতারক চক্রের পরিচয়। তখন থেকে তিনি তাদের সাথে ব্যাংক থেকে বিদেশী রেমিটেন্স উত্তলনের কাজ করে আসছেন। তিনি জানান তার বাবার বাড়ি গোপালগঞ্জ ও স্বামীর বাড়ি খুলনার তেরোখাদা উপজেলার নালিয়ারচরে।
জনতা ব্যাংক ঝিনাইদহ এরিয়া অফিসের ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার হামিদ উল্লাহ বলেন, ঘটনাটি জানার সাথে সাথে তিনি শৈলকুপায় ছুটে আসেন। প্রবাসীদের কষ্ট করে উপার্জিত টাকা প্রতারণার মাধ্যমে প্রতারক চক্র হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তারা তদন্ত শুর করেছেন। ঐ নারী সদস্য কে থানা পুলিশে দেয়া হয়েছে বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর
Loading...