শৈলকুপায় ঈদে দাওয়াত না দেওয়ায় গৃহবধূকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ।
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কোরবানির ঈদে শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাইকে দাওয়াত না দেওয়ায় এক গৃহবধূরকে পিটিয়ে হত্যার পর ঘরে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার রাত ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহত ওই গৃহবধূর নাম সাথী খাতুন (৩০)। তিনি সারুটিয়া ইউনিয়নের ভাটবাড়িয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে।
নিহত গৃহবধূর বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অভাবের সংসারে এবারের ঈদে কোরবানি দিতে পারেনি বলে জামাই ফজলুকে দাওয়াত দেইনি। কিন্তু দাওয়াত না দেওয়ায় জামাই ও তার বাবা–মা আমার মেয়েকে অত্যাচার শুরু করে। একপর্যায়ে তাকে হত্যা করে বারান্দার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে।সকাল লোকজন খবর দিলে মেয়েকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।’
সাথীর মেয়ে শারমিন (১২) বলেন, ‘কয়েকদিন ধরেই আমার মায়ের সাথে আমার বাবা, দাদা-দাদির ঝগড়া। তারা মাকে মেরে ফেলেছে।’ অন্যদিকে অভিযুক্ত ফজলু ও তার বাবা-মা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে, মরদেহের সুরতহালকারী কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘মরদেহে একাধিক দাগ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে সবকিছু বলা যাবে। বর্তমান লাশ ঝিনাইদহের সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’