শৈলকুপায় ক্লিনিকের নাম ঝুলিয়েই ব্যবসা; হাসপাতালের ডাক্তারই এসব অবৈধ ক্লিনিকের পূঁজি

শৈলকুপায় ক্লিনিকের নাম ঝুলিয়েই ব্যবসা
হাসপাতালের ডাক্তারই এসব অবৈধ ক্লিনিকের পূঁজি

শৈলকুপার কোন ক্লিনিকেই নেই ২৪ঘন্টার সার্বক্ষনিক ডাক্তার। এমন কি নিয়োগপ্রাপ্তÍ কোন ডিপ্লোমা নার্সও নেই। নেই লাইসেন্স নবায়ন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, ওটির যন্ত্রপাতি সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও অপর্যাপ্ত। এছাড়া প্রত্যেকটি ক্লিনিকে বেড সংখ্যা অতিরিক্ত ।
শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কে পূঁজি করে উপজেলা শহরে কমপক্ষে ৭টি ক্লিনিক সেবার নামে অবৈধ ও রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এর সাথে যুক্ত রয়েছে হাসপাতালের ডাক্তারগন। অবৈধ ক্লিনিকগুলো মূলত তাদের কারণেই চলছে। গোলাম রহমান, পারভেজ হাসান , কনক হুসাইন সহ কয়েকজন ডাক্তার নিয়মিত এসব অবৈধ ক্লিনিকে সিজার অপারেশন করে থাকেন!

ক্লিনিক, ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও প্যাথলজিতে চিকিৎসার নামে চলছে গলাকাটা বাণিজ্য। রোগীরা প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। সরকারি স্বাস্থ্যনীতির তোয়াক্কা না করে এসব প্রতিষ্ঠান চিকিৎসার নামে রোগীদের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে ।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, নামমাত্র প্যাথলজি ল্যাব, মানসম্পন্ন ওটি রুম না থাকা, পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকা, লোকবল না থাকা, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের ব্যবহারসহ রোগীদের সু-চিকিৎসার নামে এক ধরনের প্রতারণা করা হচ্ছে।
শৈলকুপায় প্রাতিষ্ঠানিক চিকিৎসাসেবা পরিণত হয়েছে মুনাফা লোটা ব্যবসায়। ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়েছে প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এর বেশির ভাগই ধার ধারে না সেবার মান বা নীতিনৈতিকতার। অবৈধ কৌশলে, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রোগীদের পকেট কাটায় এই খাত এতই লাভজনক হয়ে উঠেছে যে অন্য খাতের ব্যবসায়ীরাও পুরনো ব্যবসা বাদ দিয়ে নেমে গেছেন হাসপাতাল ও ক্লিনিক প্রতিষ্ঠায়।

এদিকে শৈলকুপায় প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকানা থেকে শুরু করে পরিচালনার ক্ষেত্রেও কোনো না কোনো পর্যায়ে চিকিৎসকদের সংশ্লিষ্টতাই বেশি। খুব কমসংখ্যক হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে, যার মালিকানা, পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে চিকিৎসক নেই।

এই বিভাগের আরও খবর
Loading...