শৈলকুপায় জাল সনদে কাতলাগাড়ী মাধ্যমিক বিদালয়ে ৯ বছর শিক্ষকতা

ঝিনাইদহের শৈলকুপার কাতলাগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১১ সালে কম্পিউটার শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন রিক্তা পারভীন। তবে তার শিক্ষক নিবন্ধন ছিল জাল। প্রশ্ন উঠেছে কিভাবে এত বছর জাল নিবন্ধনে তিনি চাকুরী করলেন। এর সাথে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের যোগসাজস আছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অবশ্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে প্রধান শিক্ষক এই জাল নিবন্ধনের ব্যাপারে মামলা ঠুকেছেন ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৩ সালে স্বামীর যোগাড় করা জাল সনদে এমপিওভূক্তি হন শিক্ষক রিক্তা পারভীন। এমপিওভুক্তির পর স্বামীর সাথে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় গলার কাঁটা হয়ে দাড়ায় চাকুরী।
দীর্ঘ এক দশক পরে বিভিন্ন মহলে ঘটনাটি জানাজানির পর এনটিআরসির পুনরায় সনদ যাচাইয়ে কাতলাগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক রিক্তা পারভীনের সনদটি জাল বলে প্রমানিত হয়।
রিক্তা পারভীন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার দক্ষিন ভবানীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদিনের স্ত্রী ও একই উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের আক্তার হোসেনের কন্যা। সনদ জালের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের জন্য নির্দেশনা দেন এনটিআরসি কর্তৃপক্ষ। সে মোতাবেক ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন স্কুলটির প্রধান শিক্ষক।
কাতলাগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান জানান, ২০১১সালের ২৪ জুলাই কম্পিউটার শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পান কুমারখালি উপজেলার তেবাড়িয়াগ্রামের আক্তার হোসেনের কন্যা রিক্তা পারভীন। সে সময় তিনি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার একটি সনদ উপস্থাপন করেন। এ সনদ দিয়ে তিনি ২০১৩ সালে এমপিও ভূক্তি হন। তখন থেকেই তিনি সরকারী সুযোগ সুবিধা পেয়ে আসছেন। কিন্ত বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এনটিআরসির পূনরায় সনদ যাচাইয়ে দেখা যায় রিক্তা পারভীনের সনদটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের না।

 

এরপরএনটিআরসি কর্তৃপক্ষ স্কুল কর্তৃপক্ষকে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়েরের জন্য নির্দেশনা দেন। সে মোতাবেক গত ১৪মার্চ ঝিনাইদহ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। তবে এ ঘটনার পর চাকুরী থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক।
ভূয়া সনদে চাকুরী এ ঘটনায় রিক্তা পারভীন বলেন, তিনি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এরপর তার স্বামী তার একটি সার্টিফিকেট এনে দেন। সেটা ভূয়া ছিল কিনা তা তিনি বলতেপারেন না। তবে বর্তমানে স্বামীর সাথে তার সম্পর্কের অবনতি বলে তিনি স্বীকার করেন।
ভূয়া সনদে চাকুরী নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষাকর্মকর্তা শামীম আহমেদ খান বলেন তিনি সে সময়ে অন্য কর্মস্থলে চাকুরী করতেন এ কারনে বিষয়টি নিয়ে কেন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এই বিভাগের আরও খবর
Loading...