শৈলকুপায় দুর্ধর্ষ মহিলা চোর চক্র! বোরকা কে ব্যবহার করছে কৌশল হিসাবে, এবার চুরির ঘটনা ঘটল শেখপাড়া বাজারে

বোরকা হলো মহিলাদের এক ধরনের বহিরাঙ্গিক পোশাক যা সারা শরীর ঢেকে রাখে। ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী পর্দা বজায় রাখার স্বার্থে প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম নারীরা ঘরের বাইরে, বিশেষ করে পুরুষমহলে, যাওয়ার সময় এটি পরিধান ক’রে থাকে। আর সেই বোরকা কে চুরি করার অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে একদল দুর্ধর্ষ মহিলা চোরচক্র । এমন বোরকা পরেই একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে প্রকাশ্যে! শৈলকুপা বাজারের পর শেখপাড়াতেও ঘটল এমন চুরি ।
শৈলকুপা বাজারে প্রথম ঘটনায় দেখা গেছে, এক দু’ জন নয়, পাঁচ পাঁচ জন নারী। পোষাক-পরিচ্ছেদ কেনার জন্য যথারীতি ঢুকেছে কাপড়ের দোকানে। দেখে এমনটিই মনে হতে পারে। সবাই বোরকা পরিহিত, একেবারে পা থেকে মাথা পর্যন্ত নিজেদের ঢেকে রেখেছেন। মুখ-চোখ সবই আবৃত হিজাবে!
অতপর তারা যা করল তা দেখলে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার জোগাড় হবে আপনার! একজন দামদরের কৌশলে দোকানের কর্মচারীকে ব্যস্ত রেখে বাকী ৪ নারী একটি কাপড়ের বান্ডিল ঢেকে দেয় কাপড় দেখার ছলে। এরপর সেই বান্ডিল নিয়ে চম্পট দেয় একজন মহিলা চোর। এরপর বাকীরা যে যার মতো সটকে পড়ে !
নারী চোর চক্রের অভিনব এই কান্ড সম্প্রতি ঝিনাইদহের শৈলকুপার আল-আমিন মার্কেটের ঢাকেশ্বরী বস্ত্রালয়ে সিসি টিভির ফুটেজে ধরা পড়েছে।
তবে ছোট-খাটো চুরির ঘটনায় পুলিশি অভিযোগে যেতে নারাজ ভুক্তভোগীরা। আর পুলিশ বলছে, কেউ অভিযোগ না দিলেও এমন চক্রের সাথে জড়িতদের ধরতে সজাগ রয়েছে থানা পুলিশ।
শৈলকুপা উপজেলা জুড়ে এভাবে বেড়েছে বোরকা পরিহিত মহিলা চোরের দৌরাত্ম। এতে আতংক বিরাজ করছে উপজেলার বিভিন্ন বাজার জুড়ে। মূলত ছোট ও সিসি ক্যামেরা বিহীন দোকানে ঘটছে চুরির ঘটনা। আবার সিসি ক্যামেরা থাকা দোকান থেকেও ফিল্মি স্টাইলে চুরির দৃশ্যও দেখা গেছে। যেখানে দর কষাকষির সুযোগে পন্য-সামগ্রী চুরি করে চক্রটি। শৈলকুপা শহরে কাপড়ের দোকানে চুরির পর এবার শেখপাড়া বাজারে একই স্টাইলে ঘটল বোরকা বাহিনীর চুরির ঘটনা।
সর্বশেষ সোমবার(৩জানুয়ারী) উপজেলার ত্রিবেণী ইউনিয়নের শেখপাড়া বাজারের একটি ক্রেকারিজের দোকানে দর কষাকষির সুযোগে বিভিন্ন পন্য চুরি করে নিয়ে যায় চক্রটি।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী দোকানী সোহেল জানান, কয়েক জন মহিলা দোকানে এসে দর কষাকষি করে দোকানীকে ব্যস্ত রেখে পন্য চুরি করে নিয়ে যায়। এতে প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে বিষয়টি বোঝার পর তাদের কে খুঁজে পাওয়া যায়নি। দোকানে সিসি টিভি ক্যামেরা না থাকা ও চোর শনাক্ত করতে না পারায় তিনি থানায় অভিযোগও দেননি।
এমন চুরির ঘটনায় শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এমন চুরির ঘটনায় থানায় কোনো ভ’ক্তভোগী অভিযোগ দেয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে অবগত আছে থানা পুলিশ। চক্রটি ধরতে থানা পুলিশ তৎপর রয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর
Loading...