চাকুরীবিধি লঙ্ঘন করে ডিউটি ফাঁকি দিয়ে প্রাইভেট প্রাকটিস

চাকুরীবিধি লঙ্ঘন করে ডিউটি ফাঁকি দিয়ে প্রাইভেট প্রাকটিস
ক্লিনিক থেকে বের করে আনা হলো হাসপাতালের ডাক্তার কে

সরকারী চাকুরীবিধি লঙ্ঘন করে হাসপাতালের ডিউটি ফাঁকি দিয়ে ক্লিনিকে প্রাইভেট প্রাকটিস আর সিজার অপারেশনে ব্যস্ত শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন ডাক্তার।

এমন কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালের টিএইচও ডা. রাশেদ আল মামুন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ’মি কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম শীল অভিযান চালায় ক্লিনিকে। আজ সকালের  দিকে কবিরপুরের খোন্দকার প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে দেখতে পান সরকারী ডিউটি ফেলে সেখানে সিজার অপারেশনে ব্যস্ত শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মাহবুবুল আলম পারভেজ।
এসময় তাকে ক্লিনিক থেকে বের করে আনা হয় এবং দ্রুত হাসপাতালের ডিউটিতে যেতে নির্দেশ দেয়া হয় । শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. রাশেদ আল মামুন জানান, হাসপাতালে সরকারী ডিউটি ফেলে প্রাইভেট প্রাকটিস করছিল ডাক্তার মাহবুবুল আলম পারভেজ। এ ঘটনায় তাকে সতর্ক করা হয় এবং পদক্ষেপ হিসাবে শোকজ করা হচ্ছে। ডাক্তারের বিরুদ্ধে আরো গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে, জানা গেছে হাসপাতালের নির্দেশনা ছিল আজ সকালে ডাক্তার মাহবুবুল আলম পারভেজের যাওয়ার কথা ধাওড়া করোনা টিকা ক্যাম্পে, সেখানেও তিনি যাননি গিয়েছেন ক্লিনিকে !

তবে ভিন্ন কথা বলছেন অভিযুক্ত ডাক্তার মাহবুবুল আলম পারভেজ, তিনি জানান আজ সকাল ৭টার দিকে খোন্দকার প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজার করছেন এবং অফিস টাইমে যথা সময়ে হাসপাতালে গিয়েছেন, যার ফিঙ্গার প্রিন্ট আছে। অফিস ফাঁকি দিয়ে কোন কাজ করেন নি বলে দাবি করছেন। এদিকে খোন্দকার প্রাইভেট ক্লিনিকের মালিক খোন্দকার ফজলুর রহমান জানান, ঘটনার সময় তিনি ছিলেন না, ডাক্তার কখন এসেছিল জানেন না। হাসপাতালের অফিস টাইমে কেন ক্লিনিকে হাসপাতালের ডাক্তার আনা হয়েছে, সে সম্পর্কে তিনি কিছু বলেন নি ।

অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তারদের সংগঠন সাচিব’র ঝিনাইদহ শাখার সভাপতি ডাক্তার রেজা সেকেন্দার জানান, সরকারী চাকুরীবিধি লঙ্ঘন করে ডাক্তারদের প্রাইভেট প্রাকটিস দুঃখজনক, এ ঘটনার জন্যে সাজা হওয়া উচিৎ ।

এদিকে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কে ঘিরে জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ক্লিনিকগুলো। কমপক্ষে ৭টি ক্লিনিক গড়ে উঠেছে হাসপাতালের আশপাশেই। এসব ক্লিনিকের বেশীরভাই সেবার নামে জমজমাট সিজার অপারেশনের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে হাসপাতালে আসা সিজার অপারেশনের রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে ক্লিনিকে ভাগিয়ে এনে গলাকাটা অর্থ নিয়ে সিজার অপারেশন করে। এর সাথে হাসপাতালের কতিপয় ডাক্তার জড়িত রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর
Loading...