চুরির অপবাদে গাছে ঝুলিয়ে শৈলকুপায় এক কিশোরের উপর মধ্যযুগীয় বর্বরতা

চুরির অপবাদে গাছে ঝুলিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জিল্লুর রহমান নামের এক কিশোরের উপর মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালানো হয়েছে। গত সোমবারের এ ঘটনা জানাজানি হয় বেশ বিলম্বে। পুলিশ নির্যাতিত কিশোর কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলেও ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক বা গ্রেফতার হয়নি। এদিকে নির্যাতনে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়া কিশোর জিল্লুর রহমান অতি গোপনে হাসপাতালে দুদিন থাকার পর তাকে ফরিদপুর মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে।

প্লাস দিয়ে কিশোর জিল্লুরের দু হাতের নখ থেতলে দেয়া হয়, আগুনের ছ্যাকা দেয়া হয়েছে শরীরে, গাছের সাথে শিকলে পা ঝুলিয়ে দু’পায়ের তলায় ও শরীরে বেধড়ক মারপিট ও নির্যাতন করা হয়েছে। এরপর তাকে কোন চিকিৎসা নিতে এমন কি হাসপাতালে নিতেও দেয়া হয়নি। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ কিশোর জিল্লুর কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত জিল্লুর রহমান (১৫) শৈলকুপা উপজেলার পৌরসভার হরিদেবপুর গ্রামের আবু আকবরের ছেলে ।
নির্যাতিত কিশোরের পরিবার জানায়, গত সোমবার বিকালে জিল্লুর রহমান নদীতে গোসল করতে গেলে দেবতলা গ্রামের সোহান, ইদ্রিস আলী সহ ৭-৮ জন এসে টাকা চুরির অভিযোগে তাকে ধরে দেবতলা গ্রামের আইয়ুব আলীর বাড়ীতে আটকে রেখে বিকালভর বেদম মারধর করে। এমনকি প্লাস দিয়ে নখ থেতলানো, আগুনের ছ্যাকা ছাড়াও বেদম মারপিটে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত-বিক্ষত করে।
জিল্লুর মা শেফালী বেগম জানান, ছেলে কে গোসলের জন্য পাঠানো হলে আচমকা এলাকার দুর্বৃত্ত শ্রেণীর লোকজন ৫০ হাজার টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে সারা শরীরে নির্যাতন করে। পুলিশে খবর দিলে রাত ১০টার দিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে শৈলকুপা হাসপাতালে নিয়ে আসে ।
এদিকে মামলা না করার জন্য ঘটনায় জড়িতরা বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে বলে জানা গেছে।
কিশোর জিল্লুর রহমানের স্বজনদের অভিযোগ প্রভাবশালীদের চাপে ভয়ে মামলা করার সাহস পাচ্ছেনা। শৈলকুপা থানা অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ উদ্ধার করলেও এব্যাপারে পরিবার থেকে থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর
Loading...