ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি
শৈলকুপায় হাসপাতালে ঢুকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হত্যার চেষ্টা করল এ্যাম্বুলেন্স চালক কে
শৈলকুপায় হাসপাতালে ঢুকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হত্যার চেষ্টা করল এ্যাম্বুলেন্স চালক কে
ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় হাসপাতালে ঢুকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হত্যার চেষ্টা করেছে হাসপাতালের এ্যম্বুলেন্স চালক স্বপন কে। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালের বাউন্ডারী সীমানার ভেতরে এ্যাম্বুলেন্স কক্ষে ঢুকে মুখোশ পরিহিত একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে তার মাথা, হাত, পা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ক্ষত বিক্ষত হয়। হাতের পাঞ্জা- আঙ্গুল কেটে পড়ে। তার মাথা লক্ষ করে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা, প্রাণ রক্ষায় দৌড়ে পালায় এ্যাম্বুলেন্স চালক স্বপন। গুরুত্বর যখম অবস্থায় প্রথমে শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এখনো কেউ আটক বা গ্রেফতার হয়নি। হাসপাতালের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়নি, হাসপাতালের নাইটগার্ডকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি, থানায় কোন মামলা বা অভিযোগ দায়েরও হয়নি। পুলিশ শুধুমাত্র ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ্যাম্বুলেন্স চালক স্বপন ও উদ্ধার করা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মুখোশ পরা একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে স্বপনের মাথা লক্ষ করে হামলা করে। স্বপন হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে হাতের পাঞ্জা ও আঙ্গুল কেটে পড়ে । কি কারণে কারা এ হামলা চালিয়েছে তা জানাতে পারেনি স্বপন।
হামলার পর স্বপন কে এ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া রবিউল ইসলাম নামের এক চালক জানান, তারা খুবই অনিরাপদ হয়ে উঠেছেন, মানুষের সেবামূলক কাজ করতে গিয়ে নিজেরাই যদি হত্যা বা হামলার স্বীকার হন তবে এসব কাজ করবেন কিভাবে ?
হাসপাতালে আউট সোর্সিং এ নাইটগার্ডের কাজ করেন কাজী মোহাম্মদ স্বপন নামের এক যুবক, তিনি বলেন সন্ধ্যার দিকে অপরিচিত এক যুবক কে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন। তার পরে রাতে ইমার্জেন্সি বিভাগের পাশে দাঁড়িয়ে থাকার সময় হঠাৎ চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে দেখেন এ্যাম্বুলেন্স গ্যারেজে কে বা কাহারা স্বপনের উপর হামলা করে পালিয়ে গেছে।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. রাশেদ আল-মামুন জানান, ড্রাইভার স্বপন করোনার সময় থেকে মাস্টাররোলে তাদের হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক হিসাবে কর্মরত। তিনি বলেন, হাসপাতালের বাউন্ডারী সীমানার ভেতরে প্রবেশ করে রাতের অন্ধকারে দুর্বৃত্তরা স্বপনের উপর হামলা চালায়, এতে সে গুরুত্বর আহত হয়। হাসপাতাল এরিয়া নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পুলিশের কাছে নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে লিখিত দিবেন বলে জানান।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, হাসপাতাল এরিয়াতে ঢুকে কারা এমন হামলা চালিয়েছে তা তদন্ত করে বের করা হবে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে তবে এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ বা মামলা দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষপ ও দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২বছরের বেশী সময় ধরে হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক নিয়োগ, বদলী, তদন্ত ও দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে বেশ কিছু অনিয়ম-দূর্ণীতি, হুমকি, দাপট দেখানো ও রেষারেষির ঘটনা চলে আসছে।
অন্যদিকে, শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এরিয়ায় প্রায়শ^ই দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা ঘটছে। সাম্প্রতি হাসপাতাল গেইটে স্বপন শেখ নামে কবিরপুরের এক যুবক কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সে দৌড়ে হাসপাতালের করিডোরে ঢুকে পড়লেও সেখানে গিয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে উপর্যুপরী কুপিয়ে হত্যা করে।